ভুল চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো


সেলিব্রেটি নিউজ ডেস্কঃ- গতকাল বলাকা প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো রাজু আহম্মেদের ছবি 'ভুল'-এর প্রিমিয়ার শো। এতে উপস্থিত ছিলেন ববিতা, শিমলাসহ আরও অনেকে। এ ছবিটি সাজানো হয়েছে সমাজের নানা ভুল সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। এতে দেখা যাবে_ এক হিন্দু জেলের ঘরের বাল্যবিধবা লক্ষ্মীর জীবনের সব স্বপ্ন শৈশবেই ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারের অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায়।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী আঁচল ভালোবাসে তার সহপাঠী মিলনকে। আঁচলের প্রাণের বড় ভাই আবীর এবং মিলন ছেলেবেলার অন্তরঙ্গ বন্ধু। আবীরের মৃত বাবার ইচ্ছা ছিল, 'তার প্রিয় বন্ধুর মেয়ে নায়নার সঙ্গেই আবীরের বিয়ে হোক। কাজেই আবীর-নায়না এবং মিলন-আঁচল এ দুই জুটির অচিরেই বিয়ে হবে, এতে কারও সন্দেহ নেই। সবকিছুই ঠিক চলছিল কিন্তু হঠাৎ একটি ঘটনা সব হিসাব তছনছ করে দিল। সমাজদরদি আবীরের রক্তদান শিবিরে রক্ত পরীক্ষা করে রক্তে এইডসের জীবাণু শনাক্ত হলো। ঘটনাটি আবীরকে জানাতেই সে ঠিক করল বাড়ির কাউকে ঘটনাটি না জানিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে। আবীর জানত তার এ রোগের কথা জানাজানি হলে পরিবারের সবাই দুর্ভোগে পড়বে। তাই বন্ধু মিলনকেও সে এ রোগের কথা কাউকে জানাতে বারণ করল। কয়েকদিন পর রাস্তায় দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তবে মৃতব্যক্তির কাছে প্রাপ্ত কাগজপত্র ইত্যাদি প্রমাণ করে এটা আবীরের মৃতদেহ। নায়নার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। ভেঙে পড়ল আবীরের কাছে প্রতিটি মানুষ, শুধু সবার অগোচরে ঘটে যাওয়া একটি 'ভুল'- এর কথা পৃথিবীর কেউ জানল না। যে রক্ত পরীক্ষা করে আবীরের এইচআইভি পজিটিভ মনে হয়েছিল, সেই রক্ত আবীরের নয়। রক্তদান-শিবিরে দমকা হাওয়ায় রক্তের লেবেল উড়ে যাওয়ায় এইড্স আক্রান্ত অন্য এক ব্যক্তির রক্তের লেভেল আবীরের রক্তের পাউচের ওপর লাগানো হয়েছিল। আবীর কিন্তু সত্যি মারা যায়নি। নিরুদ্দেশের পথে?যাওয়ার সময় সে দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহটি দেখতে পায়। লোকটিকে চেনা যাচ্ছিল না। আবীরের পরিবার-পরিজনকে সামাজিক হয়রানির হাত থেকে বাঁচাতে নিজের বাইক এবং পরিচয়ের কিছু প্রমাণপত্র ওখানে ফেলে রেখে নিজেকে দুর্ঘটনায় মৃত বলে প্রতিষ্ঠিত করে। এমনি করে চলে ছবির গল্প এগিয়ে যায়।
সূত্রঃ- বাংলাদেশ প্রতিদিন